September 16, 2024, 8:17 pm

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত। নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিস্ফোরক আটক। স্ত্রীর দাবী নিয়ে শিবগঞ্জের নলডুবি প্রবাস ফেরৎ যুবকের বাড়ীতে মহিলার অবস্থান। কাহালুতে বিএনপি’র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যবসায়ী ও হিন্দু সম্প্রদায়ে নেতৃবৃন্দর মতবিনিময়। শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মূখোমূখী করতে হবে মাওঃ আব্দুল হক আজাদ। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। পোশাক কারখানায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উসকানিদাতা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার। ঘোড়াঘাটে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ ও বাইসাইকেল বিতরণ। কন্যা সন্তানের মা হলেন দীপিকা পাডুকোন। বগুড়ার কাহালু উপজেলা প্রধান শিক্ষক ও ব্যবসায়ীকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যৌন হয়রানি ও প্রতারণার মামলায় বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

নিউজ ডেস্ক: বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং বিবাদী সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেন অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য যে ২০২২ সালের ২১ জুন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ওই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত এ মামলা পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ৪৯৩ ধারা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এর আগে ওই কলেজছাত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ২০২১ সালে বাসাইলের ইউএনও মো. মনজুর হোসেনের সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কথা বলে ইউএনও তার সরকারি বাসভবনে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পারিবারিকভাবে তার (ছাত্রীর) বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক হলে, তিনি (ছাত্রী) বিয়ের জন্য ইউএনওকে বলতে থাকেন। ইউএনও বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন এবং টাঙ্গাইল শহরের পাওয়ার হাউসের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসায় তারা দুই মাস থাকেন। এ ছাড়াও গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল হয়ে তাকে (ছাত্রীকে) নিয়ে ইউএনও ভারতে যান। সেখানে থাকার সময় তার মুঠোফোন থেকে দুজনের ভিডিও এবং কথোপকথন মুছে ফেলেন ইউএনও। ভারতে ১২ দিন অবস্থানের পর ৫ অক্টোবর তারা দেশে ফিরে আসেন। তারপর থেকে ইউএনও তাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নিদের্শ দেন। পরে জেলা প্রশাসন গত বছরের ৭ এপ্রিল ওই কলেজছাত্রী, সাবেক ইউএনও মো. মনজুর হোসেন, তার গাড়িচালক বুলবুল মোল্লাসহ ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আদালতে আজ এ মামলার বাদীর সাক্ষী গ্রহণ করেছেন। ওই সময় বিবাদী মনজুর হোসেন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ২০২২ সালের ২১জুন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইউএনও মো. মনজুর হোসেনকে বাসাইল থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com